04 May 2024, 04:07 am

৩৭) সূরা আস-সাফফাত – (মক্কায় অবতীর্ণ – আয়াত- ১৮২) (নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে ৩০ পারা কোরআন শরীফ তেলাওয়াত শুনুন)

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। (১) শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো, (২) অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের, (৩) অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের- (৪) নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক। (৫) তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের। (৬) নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। (৭) এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। (৮) ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। (৯) ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। (১০) তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। (১১) আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে। (১২) বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে। (১৩) যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না। (১৪) তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে। (১৫) এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু। (১৬) আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব? (১৭) আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি? (১৮) বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত। (১৯) বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে। (২০) এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস। (২১) বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে। (২২) একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত। (২৩) আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে, (২৪) এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে; (২৫) তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না? (২৬) বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী। (২৭) তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। (২৮) বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে। (২৯) তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না। (৩০) এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। (৩১) আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। (৩২) আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম। (৩৩) তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে। (৩৪) অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি। (৩৫) তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্যে নই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত। (৩৬) এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব। (৩৭) না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। (৩৮) তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে। (৩৯) তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে। (৪০) তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা। (৪১) তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি। (৪২) ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত। (৪৩) নেয়ামতের উদ্যানসমূহ। (৪৪) মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন। (৪৫) তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র। (৪৬) সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু। (৪৭) তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না। (৪৮) তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ। (৪৯) যেন তারা সুরক্ষিত ডিম। (৫০) অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। (৫১) তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল। (৫২) সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে, (৫৩) আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব? (৫৪) আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও? (৫৫) অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে। (৫৬) সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে। (৫৭) আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম। (৫৮) এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না। (৫৯) আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না। (৬০) নিশ্চয় এই মহা সাফল্য। (৬১) এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত। (৬২) এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ? (৬৩) আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি। (৬৪) এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে। (৬৫) এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত। (৬৬) কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। (৬৭) তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ, (৬৮) অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে। (৬৯) তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী। (৭০) অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল।  (৭১) তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল। (৭২) আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম। (৭৩) অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে। (৭৪) তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন। (৭৫) আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। (৭৬) আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম। (৭৭) এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম। (৭৮) আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে, (৭৯) বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। (৮০) আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। (৮১) সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম। (৮২) অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম। (৮৩) আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম। (৮৪) যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল, (৮৫) যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ? (৮৬) তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ? (৮৭) বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? (৮৮) অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল। (৮৯) এবং বললঃ আমি পীড়িত। (৯০) অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল। (৯১) অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন? (৯২) তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না? (৯৩) অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। (৯৪) তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস্ত পদে। (৯৫) সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন? (৯৬) অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। (৯৭) তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর। (৯৮) তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম। (৯৯) সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন। (১০০) হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর। (১০১) সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম। (১০২) অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন। (১০৩) যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল। (১০৪) তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম, (১০৫) তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। (১০৬) নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। (১০৭) আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু। (১০৮) আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে, (১০৯) ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। (১১০) এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। (১১১) সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন। (১১২) আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী। (১১৩) তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী। (১১৪) আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি। (১১৫) তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে। (১১৬) আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী। (১১৭) আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব। (১১৮) এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম। (১১৯) আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে, (১২০) মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। (১২১) এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। (১২২) তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম। (১২৩) নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল। (১২৪) যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ? (১২৫) তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে। (১২৬) যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা? (১২৭) অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে। (১২৮) কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়। (১২৯) আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে, (১৩০) ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক! (১৩১) এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। (১৩২) সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত। (১৩৩) নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন। (১৩৪) যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম; (১৩৫) কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল। (১৩৬) অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম। (১৩৭) তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়

(১৩৮) এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না? (১৩৯) আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন। (১৪০) যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন। (১৪১) অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন। (১৪২) অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন। (১৪৩) যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন, (১৪৪) তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত। (১৪৫) অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন। (১৪৬) আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম। (১৪৭) এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম। (১৪৮) তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম। (১৪৯) এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তান। (১৫০) না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি? (১৫১) জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে, (১৫২) আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। (১৫৩) তিনি কি পুত্র-সন্তানের স্থলে কন্যা-সন্তান পছন্দ করেছেন? (১৫৪) তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত? (১৫৫) তোমরা কি অনুধাবন কর না? (১৫৬) না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে? (১৫৭) তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন। (১৫৮) তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে। (১৫৯) তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র। (১৬০) তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না। (১৬১) অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর, (১৬২) তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। (১৬৩) শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে। (১৬৪) আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান। (১৬৫) এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি। (১৬৬) এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি। (১৬৭) তারা তো বলতঃ (১৬৮) যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত, (১৬৯) তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম। (১৭০) বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে, (১৭১) আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে, (১৭২) অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। (১৭৩) আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী। (১৭৪) অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন। (১৭৫) এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে। (১৭৬) আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে? (১৭৭) অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ। (১৭৮) আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন। (১৭৯) এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে। (১৮০) পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে। (১৮১) পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। (১৮২) সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।

www.quraanshareef.org

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 5487
  • Total Visits: 693540
  • Total Visitors: 2
  • Total Countries: 1125

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ ইং
  • ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, ভোর ৪:০৭

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018